বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসরাইলি মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, সামরিক পোশাক পরিহিত মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ইসরাইলের গুরুতপূর্ণ অস্ত্র ও নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রবেশ করছেন। ইসরাইল ২০১৭ সালে দাবি করে যে মানবাধিকার গ্রুপগুলোর চাপের কারণে তারা মিয়ানমারে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, মিয়ানমারের সঙ্গে ইসরাইলের সামরিক সহযোগিতা বাতিল করা হয়নি। গত মাসে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানায়।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়, এখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এমন দেশগুলোতে ইসরাইলি কোম্পানিগুলো অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। এসব দেশের মধ্যে ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম উল্লেখ করা হয়।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক দমন অভিযান পরিচালনা করে। জাতিসংঘ একে জাতি নির্মূল অভিযানের বাস্তব নমুনা হিসেবে অভিহিত করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় অধিবাসী ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরাইল যেভাবে আচরণ করছে, মিয়ানমারও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে একই ধরনের আচরণ করছে।
আমেরিকান-ফিলিস্তিনি সাংবাদিক রামজি বারুদ মিয়ানমার ও ইসরাইলের মধ্যে মিল উল্লেখ করে বলেছেন, ইসরাইলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিয়ান ও সাবেক ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস মিয়ানমার সফর করেছেন।
তিনি বলেন, ইসরাইলিরা যেভাবে ফিলিস্তিনিদের নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, মিয়ানমারও রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে একই কাজ করছে।