বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি "আশরাফুল ইসলাম ফাজল" হোসেন অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি রাজধানী ঢাকা থেকে ১০০ কিলোমিটার দুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তিনি আরবি ভাষা কোর্স করছেন এবং ইসলামী বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
কুরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা "ইকনা"র সাথে এক সাক্ষাৎকারে আশরাফুল ইসলাম বলেন: আমি জন্ম থেকেই অন্ধ। আমি মরহুম হাফেজ মাওলানা আহমাদ নুর কাসেমীর কুরআন তিলাওয়াত শুনে সেগুলোর পুনরাবৃত্তি করে কুরআন হেফজ করেছি। পবিত্র কুরআন মহাল আল্লাহ বলেছেন:
"انا نحن نزلنا الذکر و انا له لحافظون"
নিশ্চয়ই আমরা যিকর (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি এবং নিশ্চয় আমরাই এর সংরক্ষণকারী।
মহান আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য এপর্যন্ত বেশ কয়েকটি আসমানি গ্রন্থ নাযিল করেছে এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি গ্রন্থ হচ্ছে পবিত্র কুরআন। আমি সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি গ্রন্থের হাফেজ। এটা আমার জন্য অনেক ভালো একটা অনুভূতি।
তিনি বলেন: বাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা শিক্ষকের কুরআন তিলাওয়াত শুনে কুরআন হেফজ করে। এছাড়াও কুরআন হেফজ করার জন্য ব্রেইল বর্ণমালা ব্যবহার করে। বর্তমান যুগে আমরা মোবাইলে কুরআন তিলাওয়াত আপলোড করে তা শুনে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করি। এপর্যন্ত আমি শুধু বাংলাদেশে হেফজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি; কিন্তু বিজয়ী হতে পারিনি। এই প্রথম বারের মতো আমি আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। আল-হামদুলিল্লাহ আমি ইরানীদের আপ্যায়নে অনেক সন্তুষ্ট। আমাদের জন্য তারা সবকিছু সরবরাহ করেছেন এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথকভাবে এই প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করার জন্য আমি অনেক খুশি।
কুরআনের হাফেজ আশরাফুল ইসলাম বলেন: আমি এপর্যন্ত এই আসমানি গ্রন্থের অনেক কেরামত দেখেছি। দেশে ফেরার পর আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা আছে। ইরানে থাকা অবস্থায় যখনই সময় পেয়েছে, তখনই আমি মোবাইলে আমার পড়া শুনেছি। প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর এক ঘণ্টা কুরআন তিলাওয়াত করি। ভবিষ্যতে আমি কুরআনের ভালো একজন শিক্ষক এবং আলেম হতে চাই।