বার্তা সংস্থা ইকনা: কখনও জিনিস চুরি করে পালাচ্ছে, কখনও বা দাঁত মুখ খিচিয়ে মারতে আসছে। রোমান্টিক এই স্মৃতি শৌধের সামনে দাঁড়িয়ে দুদণ্ড প্রেম করার সুযোগ দিচ্ছে না।
এককথায় রামভক্ত পবনপুত্র হনুমানের বংশধরদের আতঙ্কে পর্যটকেরা। আর তার প্রভাব পড়ছে তাজের ব্র্যান্ড ভ্যালুতেও।
সব থেকেও নীরব প্রশাসন। বানরের উপদ্রব কমাতে কোনও ব্যবস্থাই পড়ে না চোখে। এমনই অভিযোগ পর্যটকদের একাংশে। প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসে থাকায় আরও পোয়া বারো বানরদের।
যা খুশি তাই করে বেড়ায় তারা। আটকানোর কেউ নেই। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি তাজমহলের পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে এই ঘটনা।
আর আগ্রা ট্যুরিষ্ট ওয়েলফেয়ার চেম্বারের সভাপতি প্রহ্লাদ আগরওয়াল এর জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থার গলদকে। জানিয়েছেন, বানরেরা তাজের অন্দরে পর্যন্ত ঢুকে পড়ে।
কিন্তু ওদের আটকাতে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। তাই এত ভয়হীনভাবে নিশ্চিতে ঘোরাফেরা করতে পারে। আর পর্যটকরা ওদের হামলার শিকার হয়।
ভারতের আগ্রা ট্যুরিজম গিল্ডের চেয়ারম্যান অরুণ দং জানান, তাজের নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, রাজ্য সরকার, আগ্রার প্রশাসন ও সেন্ট্রাল ইন্ডাষ্ট্রি সিকিউরিটি ফোর্স।
তাদের ব্যর্থতার জেরে তাজের এই অবস্থা। আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, বানরের আক্রমণের খবর ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার কাছে পৌঁছলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাবে।